নওগাঁ জেলার বিখ্যাত কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানুন
প্রিয় দর্শক আপনি কি জানেন নওগাঁ জেলার বিখ্যাত কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে জানেন না তাহলে চলুন আজকে আমি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব নওগাঁ জেলার বিখ্যাত কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আপনারা যদি জানতে চান তাহলে আমরা আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।
প্রিয় গ্রাহক আমি আরো কয়েকটি জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব আপনারা যদি জানতে চান তাহলে আমার আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন চলুন নিচের সেসব স্তর সম্পর্কে আলোচনা করি।
কুসুম্বা মসজিদ
নওগাঁ জেলার বিখ্যাত কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে কুসুম্বা মসজিদ একটি অন্যতম স্থান। নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় আট নম্বর ইউনিয়নে প্রায় ৪০০ বছর পুরাতন ঐতিহাসিক মসজিদটি মান্দা উপজেলা কুসুম্বা গ্রামে অবস্থিত এর দূরত্ব প্রায় মান্দা উপজেলা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে এবং নওগাঁ থেকে প্রায় 35 কিলোমিটার দূরে অবস্থান ।
বাংলাদেশের ৫ টাকার নোটে সুলতানি আমলের সাক্ষী কুসুম্বা মসজিদের ছবি নির্মিত আছে এই প্রসঙ্গম মসজিদ কে নওগাঁ জেলার ইতিহাস হিসেবে অন্নপ্রধান নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয় এই ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদ দেখার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য লোক ছুটে আসে ।
কুসুম্বা মসজিদের ইতিহাস
কুসুম্বা মসজিদটি ১৫৫৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করা হয় এবং আফগানিসুর বংশের শাসক একজন তার নাম গিয়াস উদ্দিন বাহাদুর সাহেব এর আমলে সুলাইমান নামের এক ব্যক্তি এই কুসুম্বা মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের ভিতরে উত্তর-পশ্চিম কোণে বিচার কার্য পরিচালনা করার জন্য উঁচু একটি স্তম্ভ দেখা যায়এবং মসজিদে আসার পথে মসজিদ থেকে একটু সামনে সামান্য দূরে বাক্স আকৃতির মত কালো পাথর দেখা যায়।
যা একটি ছোট্ট শিশুর কবরের মতো দেখা যায় এবং লোকমুখে তা শোনা যায় এবং এই পাথরের গায়ে আরবি হরফ দিয়ে কিছু লেখা দেখা যায় লোক মুখে প্রচলিত শোনা যায়।এই প্রস্তুটি হোসেন সাঈদ স্মৃতি বিজড়িত এবং ১৮৭০ সালে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিরাট এক ভূমিকম্পের কারণে এই মসজিদ টি বাংলাদেশের সরকার তত্ত্বাবধানে আছে ।
কুসুম্বা মসজিদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
এই মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫৮ ফুট এবং প্রস্থ ৪২ ফুট চারকোনা। কালো পাথর ও পোড়ামাটি দ্বারা নির্মিত এই কুসুম্বা মসজিদ। মসজিদের চারপাশে ৬ ফুট করে পিলার দেওয়া আছে। মসজিদের দেওয়াল গ্রামীণ চলা ঘরের আদলে তৈরি ছাদ, উত্তর ও দক্ষিণে ওষুধ বক্র করে দেওয়া আছে। মসজিদের প্রবেশের তিনটি দরজা রয়েছে তার মধ্যে দুইটি বড় আর একটি ছোট।
এই কুসুম্বা মসজিদের মেহেরাব গুলিকে পাথরের খোদাই করা আছে এবং নকশয় অলঙ্কৃত করে তোলা হয়েছে। এই কুসুম্বা মসজিদের কিবলার দেওয়াল জুড়ে গোলাপের নকশা ফুটিয়ে তুলে দেওয়া আছে। মসজিদের বাইরের দেয়ালে অনেক সুন্দর সুন্দর নকশা, নিপুণতার ছাপ তুলে দেওয়া আছে এবং প্রবেশপথের খিলানে ফুটে উঠেছে। অনেক সুন্দর সুন্দর নকশা মসজিদের উত্তর দক্ষিণ দিকে প্রায় একটি দীঘি রয়েছে 70 বিঘা থেকে 77 হতে পারে।
একটি বিশাল বড়দিঘী মসজিদের সামনে দীঘিতে নামার জন্য এক বিশাল সিঁড়ির ব্যবস্থা করা আছে। একদম পানি পর্যন্ত দিঘিটি প্রায় ১২০০ ফুট এবং ৯০ ফুট চওড়া। আবার কিছু স্থানীয় লোকের মুখে শোনা যাই এই কুসুম্বা মসজিদ টি এক রাতেই অলকিক ভাবে তৈরি হয়েছে এবং সাথে কুসুম্বা দিঘি ও এক রাতে তৈরি হয়েছে। সেখানে আরও কিছু দর্শনীয় গর্ত ছিল যা চরগারা নামে পরিচিত ।এই গর্তে কিছু ফেলে দিলে কুসুম্বা মসজিদের দিঘির মধ্যে ভেশে উঠত ।
এই কুসুম্বা মসজিদের মেহেরাব গুলিকে পাথরের খোদাই করা আছে এবং নকশয় অলঙ্কৃত করে তোলা হয়েছে। এই কুসুম্বা মসজিদের কিবলার দেওয়াল জুড়ে গোলাপের নকশা ফুটিয়ে তুলে দেওয়া আছে। মসজিদের বাইরের দেয়ালে অনেক সুন্দর সুন্দর নকশা, নিপুণতার ছাপ তুলে দেওয়া আছে এবং প্রবেশপথের খিলানে ফুটে উঠেছে। অনেক সুন্দর সুন্দর নকশা মসজিদের উত্তর দক্ষিণ দিকে প্রায় একটি দীঘি রয়েছে 70 বিঘা থেকে 77 হতে পারে।
একটি বিশাল বড়দিঘী মসজিদের সামনে দীঘিতে নামার জন্য এক বিশাল সিঁড়ির ব্যবস্থা করা আছে। একদম পানি পর্যন্ত দিঘিটি প্রায় ১২০০ ফুট এবং ৯০ ফুট চওড়া। আবার কিছু স্থানীয় লোকের মুখে শোনা যাই এই কুসুম্বা মসজিদ টি এক রাতেই অলকিক ভাবে তৈরি হয়েছে এবং সাথে কুসুম্বা দিঘি ও এক রাতে তৈরি হয়েছে। সেখানে আরও কিছু দর্শনীয় গর্ত ছিল যা চরগারা নামে পরিচিত ।এই গর্তে কিছু ফেলে দিলে কুসুম্বা মসজিদের দিঘির মধ্যে ভেশে উঠত ।
কুসুম্বা মসজিদ দেখতে কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে রাজশাহী গামী যে বড় বাসে চড়ে রাজশাহী হাওরে রাজশাহী থেকে নওগাঁ এর মধ্যে একটি হাওরের কাছে কুসুম্বা মসজিদ দেখতে যেতে পারবেন। ভাড়া লাগবে ৬৮০-১৪০০ টাকা। সেখানে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে এবং নওগাঁ জেলা পরিষদের একটি ডাকবাংলা রয়েছে সেখানে বেশ কিছু সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে।
ওখানে মিষ্টি ভান্ডার রয়েছে এবং তার সামনে কিছু প্রায় দূরে দেলোয়াবাড়ী বাজার রয়েছে । কুসুম্বা মসজিদে সিন্নি বা অন্যান্য ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক লোকজন সিন্নি রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করে এবং অনেকে মানত করে সিন্নি রান্না করে খেয়ে মান্নত করে আসেলে সকলে মনের আশা আল্লাহ তায়ালাহ পূর্ণ করে দেয়।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
নওগাঁ জেলার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান হচ্ছে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। এটি একটি মন্দির হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে কিন্তু এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বৌদ্ধবিহার । একে সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বলা হয়ে থাকে। এই বিহার নির্মাণ করেছিলেন অষ্টম শতকের শেষে পাল বংশের ধর্মপাল নামের এক রাজা। এই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ঐতিহ্যবাহী স্থান নামে পরিচিত।
এ পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার এ রয়েছে একটি কেন্দ্র মন্দির সন্ধ্যা, গতির ঘা্ট , শৌচাগার নাগার, উন্মুক্ত অঙ্গন, সত্যপীরের ভিটা, বানেশ্বর মন্দির ইত্যাদি রয়েছে। আরও অনেক মূর্তির উপর মুদ্রা ও শিল্পালিপি পাওয়া যায় সেখানে।পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার এর পাশে জাদুঘরও রয়েছে এটা পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে অবস্থিত এবং নওগাঁ থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে উপজেলায় অবস্থিত।
সেখানে যাওয়ার পথে বাসে বা সিএনজিতে অটোরিকশায় সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা আছে। আপনারা সে যানবাহনে চড়ে যেতে পারবেন তবে জয়পুরহাট থেকে খুব কাছে এবং খুব সহজে পাহাড়পুর বুদ্ধবিহারে যাওয়া যায়। মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে, তাই চাইলে জয়পুরহাট হয়েও যেতে পারেন। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার একটু রাস্তা থেকে মাঠের মধ্যে।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার সকাল দশটা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তারপর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে প্রবেশ করতে হলে টিকিট করে ঢুকতে হয়। ছোটদের জন্য পাঁচ টাকা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা করে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়। অন্যান্য দেশগুলোর জন্য ১০০ টাকা ও বিদেশীদের জন্য ২০০ টাকা প্রবেশ মূল্য।
দেবরের দীঘি
নওগাঁ জেলার পতিতলা থানার মধ্যে স্থলে অবস্থিত এই দেবরের দীঘি । ঐতিহাসিক নিদর্শন থেকে 50 বিঘা বা ১ থেকে ২ বর্গমাইল জমির উপর অবস্থিত । আর বিশিষ্ট জনগণের কাছে এই দিঘিটি কর্মকারের জলাশয় নামে পরিচিত।
এই স্তমটি গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি এই স্তম্ভের উচ্চতা 31 ফুট আট ইঞ্চি, দিঘির চারপাশে রয়েছে মনোরম পরিবেশ, অনেক খাবারের হোটেল এবং অনেক দোকানপাট রয়েছে আশ্চর্যজনকভাবে স্থাপিত অখন্ড পাথরের স্তম্ভব অতীতের বাঙালিরা শীর্ষবিন্দের সাথে বহন করেছে আজও।
দেবর দীঘি দেখতে কিভাবে যাবেন
দেবরের দীঘি দেখতে আসতে হলে নওগাঁ সদরে আসতে হবে। জেলা যেখান থেকেই হোক নওগাঁ সদরেই আসতে হবে।সদর থেকে বাস টার্মিনাল সেখান থেকে সাপাহারে বাসে উঠে দেবরের দিঘির মোড়ে নামতে হয়। দেবরের দীঘির দ্রুত নওগাঁ থেকে প্রায় 55 কিলোমিটার দিঘি। সময় লাগবে প্রায় এক থেকে দুই ঘন্টা। সরাসরি দেবরের দীঘি দেখতে আসতে পারবেন এখানে অটো ভাড়া হচ্ছে দশ টাকা।
বলিহার রাজবাড়ী
রাজশাহী শহরের পশ্চিমে অবস্থিত বলিহার ইউনিয়নের নওগাঁ সদর উপজেলায় অবস্থিত। এই ঐতিহ্যবাহী বলিহার রাজবাড়ী বলিহার ইউনিয়নের কুমরইল মোজাই অবস্থিত । নওগাঁ শহর থেকে প্রায় 18 কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত বিমলেন্দু রাই ছিলেন সময়কালে বলিহারের রাজা, এই রাজার রাজবাড়ী দেখভাল করতেন রাজ পরিবারের অন্যান্য কর্মচারীরা।
দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় এবং পরবর্তীতে রাজাবাড়ির বিভিন্ন নিদর্শন আসবাব পত্র দরজা সহ জানালা বিভিন্ন লুটপাট করে নিয়ে যায়। রাজবাড়ির সামনে রয়েছে নাম মন্দির আরো বিশাল জমিদার বাড়ি রয়েছে, এই জমিদার বাড়ির বিভিন্ন দেয়ালে কারু কাজ করা আছে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র সব ভাঙচুর করে রাখা আছে।
এই বলিহার জমিদারীতে রয়েছে মালাহার সীতাহার বলিহার অলংকার ৩৩০ দিঘি ও পুকুর ছিল, এবং এই গুলি মারের একটি ভবন স্কুলের শ্রেণী কক্ষন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং এই বলি হারের ভবনের ভিতরেই পূজা-অর্জনের কাজে ব্যবহার করা হতো।এই বলিহার প্রাসাদের পিছনে মালিক পাড়ায় এখনো বিশাল আকারে শিবলিঙ্গ রয়েছে, আর এই শিবলিঙ্গ যাতে চুরি না হয় সেজন্য ঘোড়ায় খোয়া সিমেন্ট দিয়ে মজবুত করে ঢালাই দিয়ে বাধা আছে ।
লিহারের জমিদার রাজেন্দ্রনাথ ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে বলিহারের রাজেশ্বরী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, এবং ৯ টাকার হ্রদ এ অঞ্চলে প্রসিদ্ধ ছিল। মন্দিরের আশেপাশে ছিল একটি বাগান বাড়ি সেখানে প্রাই বলিহার রাজবাড়ীতে প্রতিদিনই জলসা বসতো বলিহার রাজবাড়িতে ছিল মিনি চিড়িয়াখানা সেই চিড়িয়াখানায় ছিল বাঘ ভাল্লুক বানর নানা প্রজাতির পশুপ্রাণী।
বলিহার রাজবাড়ী দেখতে কিভাবে যাবেন
দেশের যে প্রান্তে থেকে হোক নওগাঁ থেকে নওগাঁ নিয়ামতপুরে আসবেন তারপর সাপাহারে যাবেন সেখান থেকে অটো রিক্সা করে বলিহার রাজবাড়ী যেতে পারবেন।পাহাড়পুর জাদুঘর
পাহাড়পুর জাদুঘর হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাচীন নিবদ্ধ বিহার। নওগাঁ সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। কাল জাদুঘর সম্ভবত পাল রাজ ধর্মপাল নির্মাণ করেছিলেন, এটি অধিদপ্তর ষাটের দশকে এখানে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করে যা পাহাড়পুর জাদুঘর নামে পরিচিত। এই জাদুঘরটি ৪ গেরালি বিশিষ্ট একটি জাদুঘর এ জাদুঘরের মধ্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে, অনেক মূর্তি রয়েছে কালো পাথর রয়েছে।
আরও বিভিন্ন ধরনের পুরাতন অলংকৃত ইট পাথরের মূর্তি পোড়ামাটির জিনিসপত্র ইত্যাদি রয়েছে। জাদুঘরের সামনে একটি পুকুর খনন করা হয়েছিল সেই পুকুর পাথরেরই করে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু দস্যু রা শুধু ধ্বংস করে দিয়েছে । এবং পুকুরটি ভরাট করে দেওয়া হয়েছে তবে এই পুকুরে খলিফা হারুন রশিদের শাসনামলে রুপার মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো এই জাদুঘরে সংরক্ষিত করা হয়েছে।
আলতা দিঘি
নওগাঁ জেলায় আর একটি অন্যতম দর্শনে স্থান রয়েছে যার নাম আলতা দিঘি। সেখানে যেতে হলে নওগাঁ উপজেলায় যেতে হবে এবং সেখানে অটোরিক্সায় যাওয়া যাবে। নওগাঁ থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থান করছে ।
এই দিঘিতে শীতকালে প্রচুর পরিমাণ অতিথি পাখির আগমন দেখা যায়। এবং এখানে শীতকালে যাওয়ার উপযুক্ত সময় শীতকালে এই দিঘিটা দেখতে প্রচুর পরিমাণে ভালো লাগে। এবং তার পাশে সবুজ ঘাসের
শালবন রয়েছে, শালবন আলতো দিঘির পাশে অবস্থিত এই শালবন জাতীয় উদ্যান আলতো দিঘি যাওয়ার আগেই পড়বে।
আলতা দিঘির চারপাশে সবুজে ঘেরা বন একবার দেখলে মনে হয় বারবার ঘুরে দেখি । সুন্দর একটা পরিবেশ সবুজ ঘেরা এই শালবনকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে আঁকাবাঁকা লাল মাটির পথ দিয়ে বেয়ে যেতে হয় এই শালবনে । আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে শালবন দেখতে এত ভালো লাগে যা আপনাকে রোমান্টিক করে তুলবে।এই বোনের আয়তন ২৬৪. ১২ হেক্টর ।
এই শালবনে শাল গাছ ছাড়াও আরো অনেক লতা গাছ রয়েছে, যেগুলো হচ্ছে অনন্তমূল বোন বড়ই সহ নানা ধরনের গাছ রয়েছে । বনফুল, এমন একটি জায়গা যেখানে অনেক ঔষধি গাছ রয়েছে, এছাড়াও আরো না জানা প্রজাতি গাছের সন্ধান রয়েছে এই শালবনে। অনেক জীবজন্তু বাস করে যেমন বিজি খরগোশ হনুমান শিয়াল বানর সহ নানা প্রজাতির প্রানি ও পাখিও রয়েছে ।
তাল গাছের রাস্তা ঘুঘুডাঙ্গা
হাজিনগর গ্রামে তালতলীতে এই রাস্তা অবস্থিত যার নাম ঘুঘুডাঙ্গা। এটি নিয়ামতপুর উপজেলায় অবস্থিত এই ঘুঘুডাঙ্গা রাস্তার দুই ধারে সারি সারি তালগাছ দেখলে মনে হয় যেন গাছেরই স্তম্ভ। এটি একটি দর্শনীয় স্থান এখানে হাজার হাজার মানুষ দেখার জন্য ছুটে আসে, তাল গাছের এই সারি সারি দেখলে আপনার মন মুগ্ধ হয়ে যাবে, চোখের বিশ্রাম চাইলে আপনাকে এই তালতলীতে আসতে হবে।
200 টাকা দিয়ে অটোরিকশায় চড়ে ঘুরতে পারবেন এর আশেপাশে এখানে অনেক ধরনের খেলনা কসমেটিক এবং অনেক ধরনের খাবার যেমন ফুচকা ঝটপটি সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে মাঝে মধ্যে মেলা এবং খেলাধুলা গান বাজনা ও হয়ে থাকে। সেখানে একটি পুকুর রয়েছে সে পুকুরে পদ্দ চাষ করা হয় আর এ পদ্দ ফুলের দৃশ দেখতে এতো সুদর লাগে আপনি দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাবেন ।
ডানা পার্ক
ভবানীপুর গ্রামে প্রায় দশ বিঘা জমি নিয়ে এই পার্কটি নির্মিত এটি নওগাঁ পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত গ্রামের মধ্যে গড়ে তোলায় মনোরম পরিবেশের পার্কটি বিনোদন প্রেমিকদের কাছে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ডানা পার্কে রয়েছে কমিউনিটি সেন্টার এবং বাচ্চাদের জন্য খেলনা সুইমিংপুল পিচ্ছিল মহীসহ নানা ধরনের বাচ্চাদের জন্য আনন্দ উল্লাসের জায়গা।
এখানে ঘুরে বেড়ানো যায় এবং সেখানে আরো রয়েছে হাতি বাঘ ভাল্লুক ও জলপরী হরিণ ক্যাঙ্গারু ঘোড়া বক জিরাফ আরো ইত্যাদি এবং দেয়ালের মাঝখানে অনেক প্রতি ছবি তুলে ধরা হয়েছে এই ডানা পার্কে খাবারের জন্য বিরাট বড় রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানে সকল ধরনের খাবারের সুবিধা রয়েছে
টিকিটের মূল্য
ডানা পার্কের প্রবেশ করতে হলে টিকিট করে প্রবেশ করতে হবে টিকিটের মূল্য বিশ টাকা ১০ টাকা সুইমিং পুল ৫০ টাকা এখানে যেতে হলে নওগাঁ সদর থেকে অটো রিক্সা করে সহজে আপনি ডানা পার্কে যেতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
সব শেষে বলতে চায় যে, আপনি যদি ভ্রমনের পাগল হয়ে থাকেন তাহলে দেরি না করে তারাতারি ভ্রমনের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ুন এবং আমার আর্টিকেল টি যদি ভালো লাগে তাহলে আত্মীয় ও বন্ধুদের কাছে শেয়ার করুন । "ধন্যবাদ"।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url