ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না, আসুন আজকে আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম জানানোর চেষ্টা করবো তাই আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় দর্শক আরও বিশেষ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করবো যার মাধ্যমে ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম এবং এর সকল তথ্য জানতে পারবেন আপনারা যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

ভুমিকা

সাধারন তাপ মাত্রায় চিয়াসিড ২০/৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখলে প্রোটিনের পরিমান বেশি থাকে। তারপর সেটা খেলে ক্ষুধা নিবারন হয় এবং চিয়াসিড টকদই, শরবদ, বা অন্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে হয়। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ১০০ গ্রাম চিয়াসিড খাওয়া উচিত।

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা

চিয়াসিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ, চিয়াসিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম পালং শাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি আয়রন, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, কলাতে দ্বিগুণ পটাশিয়া্‌ মাছের চেয়ে আরগুন বেশি ওমেগা 3 রয়েছে, ডিম থেকে তিন গুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে ।

 চিয়াসিড খেলে হিতরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে মেটা বলে সিস্টেমকে উন্নত করে ওজন কমাতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ডায়াবেটিস কমে যায়
এই চিয়াসিড প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর পূর্বে খাওয়া উচিত। চিয়াসিড বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন, চিয়াসিডের নিজের কোন স্বাদ নেই, চিয়াসিড যে কোন সালাদের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এবং জুসের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। চিয়াসিড নিয়মিত খেলে অনেক উপকার পাবেন, এতে অনেক খাদ্য আঁশ থাকে জা হজমের সাহায্য করে।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
চিয়াসিড খেলে ক্ষুধা লাগে না, এবং অজন কমাতে সাহায্য করে। এতে উচ্চ মাত্রার ফাইবার থাকে সে জন্য অজন দ্রুত কমে যায়। চিয়াসিড প্রতিদিন খেলে মোটা হওয়ার আশংকা থাকে না। চিয়াসিড কান্সারের ঝুঁকি কমায়,এবংচিয়াসিডে থাকা মাইরিসেটিন অ্যালার্জি সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ উপকারি।

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

যে কোন খাবারের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে তেমনি চিয়াসিডেরো কিছু অপকারিতা রয়েছে। চিয়াসিড বেশি খেলে প্রোস্টেট বা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্যে করে, ফাইবার বেশি থাকার কারণে চিয়াসিড বেশি খেলে পেটের ব্যাথা হতে পারে। চিয়াসিড অতিরিক্ত খেলে অস্বাভাবিক ভাবে ওজন দ্রুত কমে যেতে পারে, এবং স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সুতরাং চিয়াসিড অল্প পরিমানে খাওয়া উচিত,যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে চিয়াসিড খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। চিয়াসিড খেলে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে তাই অতিরিক্ত চিয়াসিড খেলে রক্তচাপ বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এতে মানুষের ক্ষতি হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

সামগ্রিক ভাবে গর্ভাবস্থায় চিয়াসিড খাওয়া উপকারী, তারপর ও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। গর্ভবতী অবস্থায় চিয়াসিড বা যেকোন খাবার পরিবর্তন করে খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গর্ভবতী অবস্থায় চিয়াসিডের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খাওয়া উচিত, চিয়াসিড সাস্থ কর খাবারের মধ্যে পড়ে।

চিয়াসিড অতিরিক্ত খেলে আয়রনের অভাব হতে পারে, চিয়াসিডে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে তাই অতিরিক্ত খেলে শরীরের সমস্যা হতে পারে।এবংখুব দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে যদি এ ধরনের সমস্যা হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিয়াসিড খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চিয়া সিড এর দাম কত

চিয়াসিড অদ্ভুত এক ধরনের খাদ্য উপাদান যার গোটা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে পুষ্টি গুনের ব্যাপক সমৃদ্ধ। চিয়াসিড সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
  • কালো চিয়াসিড : কালো চিয়াসিড ৫০০ গ্রাম প্যাকেটের দাম ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা।
  • সাদা চিয়াসিড:সাদা চিয়াসিড ১ কেজি প্যাকেটের দাম ১১০০ থেকে ২২০০ টাকা।

চিয়া সিড কোথায় পাওয়া যায়

চিয়াসিড মুলত অ্যামেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভুমিতে জন্মায়, দেখতে এগুলো অনেকটা তুকমা দানার মতো পৃথিবীতে সব চাইতে পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিয়াসিড।

ভালো চিয়া সিড চেনার উপায়

আসল চিয়াসিড সব সময় ঝরঝরে বা ফ্রেস হয়ে থাকে, কোন বালি থাকবে না, এবং পচা গন্ধ থাকবে না। সাদা চিয়াসিডের তুলনায় কালো চিয়াসিড একটু বেশি দামি হয়ে থাকে।

চিয়া সিড এর বাংলা নাম

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা অনুসারে চিয়াসিড এর বাংলা নাম হচ্ছে চিয়াবীজ।বাংলাদেশে বাঙ্গালীরা শক্তি বীজ, বা পুষ্টি বীজ বলে চিনে থাকেন। অনেকে এটাকে তুকমা মনে করে ভুল করে, কিন্তু তুকমা আর চিয়াবীজ দুটো সম্পূর্ণ আলাদা।

চিয়া সিড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

  • পেটে ব্যাথা হতে পারেঅ্যালার্জি জনিত সমস্যা হতে
  • পারেবদ হজমের সমস্যা হতে পারে
  • গলায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • অতিরিক্ত চিয়াসিড খাওয়ায় রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে
  • উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে

চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল

চিয়াসিডে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে আর সেটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং কিডনির চাপ কমায়। এতে থাকা এন্ট্রি অক্সিডেন্ট কিডনির কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে তাই নিয়ম অনুযায়ী খেলে কিডনির কোন ক্ষতি হয় না।

অতিরিক্ত পরিমানে চিয়াসিড খেলে হজমের সমস্যা হয় কেন

সাস্থ ভালো রাখতে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা,কিন্তু বাঙ্গালীরা উপকার পাবে বলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে যার ফলে হজমের সমস্যা, গ্যাস, পেট ব্যাথা, ও ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
চিয়াসিড খাওার উপকারিতা জানুন
চিয়াবীজ বেশি খাওয়ার ফলে শরীরের পানির ঘাটতি পর্যন্ত হতে পারে। তাই মাথায় রাখতে হবে যে, চিয়াবিজ খাওয়ার সাথে সাথে পানির পরিমান ও যেন ঠিক থাকে।

লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে বলা যায় যে, চিয়াসিডের যেমন উপকার আছে তেমন অপকার ও আছে তাই উপরের আর্টিকেলের তথ্যগুলো পড়ুন এবং নিয়ম অনুযায়ী চিয়াসিড পান করুন তাহলে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধু এবং আত্মীয়দের কাছে শেয়ার করবেন এবং ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url