বাংলাদেশে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না, আসুন আজকে আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব,তাই পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরধ রইলো।
প্রিয় দর্শক আরও বিশেষ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করবো যার মাধ্যমে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা উল্লেখযোগ্য,কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং আরও তথ্য পেতে আর্টিকেলটি ভালো করে পরুন।
ভুমিকা
কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা অপরিসীম। কোয়েল পাখির ডিমে থাকে অনেক ভিটামিন এতে রয়েছে ফসফরাস,পটাসিয়াম, সোডিয়াম, থায়ামিন, জিংক, রিবোফ্লাভিন, ম্যাগনেসিয়াম,আয়রন, নিয়াসিন ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি৬,ভিটামিন বি১২ ও ভিটামিন ই,এই ডিম গর্ভবতী অবস্থায় খেলে শিশুর জন্মগত সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে এবং শিশুর হাড় গঠনের জন্য খুব কার্যকরী।
কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা অনেক, কোয়েল পাখির ডিমে ভরপুর পুষ্টিগুণ থাকে, কোয়েল পাখির ডিম ভিটামিন ও খনিজের প্রাচুর্য। ক্যালরির এক তৃতীয়াংশই আসে আমিষ থেকে তা হলো কোয়েল পাখির ডিম,এ ডিম গুলো আকারে ছোট হলেও এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ কোয়েলের ডিমে থাকে ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ফ্যাট প্রোটিন। কোয়েল পাখির ডিম আমাদের শরীররের জন্য খুব উপকারী।
আরও পড়ুনঃ ব্রয়লার মুরগী পালনের ৫ টি পদ্ধতিকয়েকটি উপকারের কথা উল্লেখজজ্ঞ- যেমন হাঁপানি শিথিল করে, অ্যালার্জি জনিত রোগ প্রতিরোধ করে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং চোখ ভালো রাখে। ত্বকের সমস্যা সমাধান করে, ও ত্বককে ভালো রাখে।
গর্ভবতী অবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
আপিন কি গর্ভবতী? যদি উত্তর দেন হ্যা্ঁ তাহলে কোয়েলের ডিম গুলো খওয়া অত্যন্ত জরুরি। কোয়েলের ডিম খওয়া বন্ধ করা যাবে না কারণ এই ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং প্রোটিন গবেষণায় দেখা গেছে, যে,এই ডিমে রয়েছে অ্যান্ট্রিঅক্সিডেন, প্রোটিন ও ভিটামিন।
এগুলো ভিটামিন গর্ভবতী অবস্থায় খওয়া অনেক জরুরি। গর্ভ অবস্থায় ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং কোয়েল পাখির ডিম গর্ভবতী অবস্থায় অম্বল ভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। আবার রক্ত চাপের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে কোয়েল পাখির ডিম কিডনি কে ভালো রাখে।
গর্ভবতী মহিলার শরীর থেকে খতিকর প্রভাব দূর করে কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি১২ বা লাল রক্ত কনিকা তৈরী করতে অপরিহার্য।এই ডিমে রয়েছে অনেক বেশি আয়রন যার ফলে রক্তের সল্পতার জন্য সাহায্য করে।
কোলিন সমৃদ্ধ কোয়েল পাখির ডিম আর ভ্রূণের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ডিমে যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে গর্ভবতী নারী ও শিশুর কোষগুলো খতির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
ভরপুর পুষ্টি কোয়েল পাখির ডিমে, সকলের জন্য প্রয়োজনীয় একটি খাবার এই কোয়েল পাখির ডিম। এতে রয়েছে অন্যান্ন পুষ্টি গুণ বেশি ভিটামিন। আমাদের শরীর সুস্থ সবল রাখতে এই কোয়েল পাখির ডিম সকল পুষ্টির চাহিদা পুরন করে।শুধু বাংলাদেশ থেকে নয় গোটা বিশ্বের কাছে ভালো গুনাগুনের জন্য জনপ্রিয় খাবার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বয়ষ্কদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা
বয়স্কদের জন্য অনেক উপকার হবে কোয়েল পাখির ডিম খেলে। এ ডিম হাড়, এবং দাঁত ও হাতের পায়ের নখ মজবুত করে হিতরোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বয়স্কদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বয়স্কদের হাপানি ও শ্বাস কষ্ট রোগের প্রতিকার ও সহায়তা করে। মূত্রাশয়ের পাথর ক্যানসার রক্তস্বল্পতা দূর করে কোয়েল পাখির ডিম।
শিশুদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা
কোয়েল পাখির ডিম শিশুদের জন্য খুব উপকারী। কেননা কোয়েল পাখির ডিম পুষ্টিতে ভরপুর। এই কোয়েল পাখির ডিম খেলে বাচ্চাদের মস্তিষ্ক আরো মজবুত করে এতে রয়েছে অনেক প্রোটিন। শিশুরা যদি এক বছর বয়সে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি করে কোয়েল পাখির ডিম খায় তাহলে অনেক দ্রুত বিকাশ ঘটে।
এ ডিমে রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণ ও জিংক এবং আয়রন, পটাসিয়াম, এ পুষ্টি গুণ গুলো বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী। কোয়েলর ডিমে থাকে কোলিন, সেলেনিয়াম, ও ভিটামিন বি এগুলো শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি।যা শিশুদের ক্যালসিয়াম বাড়ায়, তাই বাচ্চাদের কে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন তবে ডিম ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে তার পরে খাওয়াতে হবে এবং শিশুরা অনেক উপকার পাবে।
কোয়েল পাখির ডিমের অপকারিতা
কোয়েল পাখির ডিমের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা ও আছে, সেগুল নিচে তুলে ধরা হল- কোয়েল পাখির ডিম খেলে ড্রায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্যে করে। যাদের ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের জন্য কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া বন্ধ করা উচিত, কারন এই কোয়েল পাখির ডিম তাদের ড্রয়াবেটিস ও হৃদরোগের কারন হতে পারে।
কোয়েল পাখির ডিম খেলে কলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। কোয়েল পাখির ১০০ টি ডিমে রয়েছে ৮৪৪ গ্রাম কলেস্টেরল যা অন্যান্ন ডিমের চেয়ে অনেক বেশি।তাই যাদের শরীরের কলেস্টেরলের সমস্যা তাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া উচিত নয়।
কোয়েল পাখির ডিমের রান্নার রেচিপি
আজকে আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই কোয়েল পাখির ডিমের রান্নার রেসিপি কিভাবে রান্না করলে খেতে অনেক সুসাদু হবে। প্রথমে ডিম গুলো সিদ্ধ করে নিতে হবে তার পরে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবং কোয়েল পাখির ডিম ভালো করে সামান্য হলুদ গুড়া মরিচ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে এরপর চুলায় একটি পাত্র বসাতে হবে।
এবং পাত্রের মধ্যে তৈল দিয়ে ডিম গুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে ব্রাউন কালার না হওয়া পর্যন্ত। ডিম গুলো উঠিয়ে নিয়ে আলাদা করে রাখতে হবে। চুলায় বসানো প্যানে তৈল দিয়ে লবণ, গুড়া মরিচ , হলুদ, আদা রসুন বাটা ও ধনিয়া গুড়া মিক্সট করে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে তার পরে ডিম গুলো প্যানের মসলার মধ্যে দিয়ে আবারও একটু কষিয়ে নিতে হবে।
এরপর পরিমাণ মত পানি ২/৩ কাঁচা মরিচ এবং কোকোমাট মিল্ক মিশিয়ে ৪/৫ মিনিট রান্না করলে তৈরি হয়ে যাবে কোয়েল পাখির ডিমের রান্নার রেসিপি। তার পরে রান্না করা রেসিপি টা অন্য পাত্রে ঢালুন,হয়ে গেল ডিমের রান্না করা রেসিপি এবং এ খাবার খেতে অনেক সুসাদু ও মজাদর হবে।
শিশুকে কোয়েল পাখির ডিম কত বছর বয়সে খাওয়ানো উচিত
এক বছর বয়সী বাচ্চা শুধু কুসুম খাবে বাকিটা খেতে পারবে না। কিন্তু তিন বছর বয়সী বাচ্চা পুরো ডিম খেতে পারবে। সাত বছর বয়সী বাচ্চারা দুই টি করে খেতে পারবে কোয়েল পাখির ডিম। দশ বছর বয়সী বাচ্চা প্রতিদিন ৫/৭ ডিম খেতে পারবে। এ ছিল শিশুদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার সময়সীম।
লেখকের মন্তব্য
পরিশেষে বলা যাই যে,সুস্ত থাকতে হলে বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না উপরের ওপশম গুলোই তার প্রমাণ।আজকে আপনাদেরকে জানালাম কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা, বয়স্কদের ডিম খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভবতী অবস্থায় ডিম খাওয়ার উপকারিতা, এবং শিশুদের ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও ডিমের রান্নার রেসিপি সম্পর্কে। অবশ্যই আপনারা আপনাদের আত্মীয় স্বজনদের বন্ধুদের সাথে এই আর্টিকেল টি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url