বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে

প্রিয় দর্শক আপনি হয়তো ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না আসুন আজকে আমি এই আর্টিকেল টির মাধ্যমে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানাবো তাই আর্টিকেল টি পড়ার অনুরধ রইল।
প্রিয় পাঠক আরও বিশেষ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করবো যার মাধ্যমে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং সকল তথ্য জানতে পারবেন তাই আর্টিকেল টি ভালো করে পরুন।

ভূমিকা

ড্রাগন ফলের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যার ফলে রক্তের চর্বি কমাতে সাহায্য করে হিতপিন্ডের জন্য খুব উপকারী। ড্রাগন ফলের অনেক বেশি আ্ঁশ থাকে যার ফলে হজমের সহায়তা করে এবং ক্যালরী কম হওয়ার জন্য ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অনেক ম্যাগনেসিয়াম,অ্যাসিড,লাইকোপেন,ও ক্যারোটিনএবং ফাইবার আয়রন যার ফলে আমাদের অনেক উপকার হয়।

ড্রাগন ফলের উপকারীতা বিস্তারিত আলোচনা

ড্রাগন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং হীতরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পুরোন করে এছাড়া ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং কষ্ঠোকাঠিন্য দুর করে ও সুসাস্থের জন্য খুব ভালো।

ড্রাগন ফলের অনেক বেশি আয়রন যার ফলে আমাদের অনেক উপকার হয় ড্রাগন ফলের জন্য ওজন দ্রুত কমাতে পারি ড্রাগন ফল শরীরের রক্ত পরিস্কার করে চর্বি কমাতে সাহায্য করে ও চুলের গোছা শক্ত করে এবং মুখের স্কিন নরম মলিন ও চকচকে করে তোলে। হিতপিন্ড ভালো রাখে আরও অনেক উপকার হয় সে জন্য ড্রাগন ফলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ড্রাগন ফলের অনেক উপকার এতে এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে, এবং ভালো পরিমাণ ফাইবার ও ক্যাসিয়াম আছে বাচ্চাদের জন্য ক্যারটিনের চাহিদা পুরন করে ভিটামিন এবং বি,এবং ভিটামিন সি ত্বকের সতেজতা ও বলিরেখা দুর করতে সাহায্য করে।

আরো যোগ রয়েছে বায়োঅ্যাকটিভ ড্রাগন ফলে পটাসিয়াম রয়েছ ড্রাগন ফল যেমন দেখতে আকর্ষনীয় তেমনি পুষ্টিগুণ ও বেশি। ড্রাগন বিদেশি ফল হলেও এখন বাংলাদেশে চাষ করা হচ্ছে,ফলে সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে। ড্রাগন ফল শরীরে ব্যথা নিরাময়ের কাজে লাগে বিভিন্ন ঘাটতি পুরোন করে এছাড়া ও শরীরের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলে যোগ রয়েছে বায়োঅ্যাকটিভ এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এবংপটাসিয়াম, এগুলো থাকার জন্য রোগ পতিরোধ করতে সাহায্য করে। কার্ডিভাসকুলার রোগ ডায়াবেটিস ও ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ড্রাগন ফল যেমন শরীরের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে তেমনি ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে হিতরোগ ভালো হয় এবং ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে উচ্চ কোলেস্টেরলের।
ড্রাগন ফল খেলে হজমের সহায়তা করে, ড্রাগন ফলে ফাইবার থাকে ৩ গ্রামের ও বেশি ফলে ড্রাগন খেলে ফাইবারের চাহিদা পুরন করে।
ড্রাগন ফলের ভেতর ছোট ছোট করে কালো বীজ থাকে যেগুলো মেগা থ্রী ও মেগা নাইন ফ্যাটি এসিড যা হার্টের জন্য খুব উপকারী। ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় উপাদান গুলো নেই তাই ডায়েট চার্টে রাখতে পারেন এই ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে হিতরোগ ভালো হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়, ও ছানি পড়া থেকে অনেক সাহায্য করে।

ড্রাগন ফলের ভেতর থেকে কিছু প্রোটিন বা তৈল বের হয় যা এলার্জি আক্রমণের হাত থেকে বাচা্ঁয়।ড্রাগন আমাদের জন্য খুব উপকারী ব্যায়াম করে যতটা উপকার হবে তার চাইতে অনেক বেশি উপকার হয়, ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে  অনেক উপকার হয় ।

 ড্রাগন ফলের অনেক বেশি আয়রন পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম আছে আরো অনেক ভিটামিন আছে যেগুলো উপরের ওপশনে বলা  হয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী ড্রাগন খেলে অনেক উপকার পাবেন আর আমাদের শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পুরোন করতে সাহায্য করতে পারে এ ড্রাগন ফল। আপনারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খাবেন প্রচুর পরিমাণ উপকৃত হবেন।

ড্রাগন ফলের অপকারীতা

গনড্রাগন ফল অতিরিক্ত খেলে এলার্জি আক্রমণের শিকার হতে পারেন আবার ক্যান্সার ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ড্রাগন ফল চিবিয়ে চিবিয়ে না খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। ড্রাগন ফল নিয়মিত খাবার খেতে হলে তার নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে তাহলেই আপনারা সুস্থ থাকতে পারবেন এবং নিয়ম মেনে ড্রাগন খেলে অনেক উপকার পাবেন।

ড্রাগন ফল নিয়মিত খাবার সঠিক সময় লক্ষ রাখতে হবে ড্রাগন ফল খাবার সঠিক সময় হচ্ছে সকালবেলা খালি পেটে না হয় খাবার গ্রহণ করার ২ ঘন্টা পর।এভাবে নিয়ম মেনে ড্রাগন খেলে অনেক উপকার পাবেন আর যদি নিয়ম অনুযায়ী ড্রাগন ফল না খান এবং অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তাহলে ও ক্ষতি হতে পারে।তাই আপনারা নিয়ম মেনে ড্রাগন ফল খাবেন স্লোভেনিয়ার এবং অনেক উপকৃত হবেন।

ড্রাগন ফল হচ্ছে বিদেশি ফল কিন্তু এখন বাংলাদেশে ও এই ড্রাগন ফল চাষ করা হচ্ছে, বাংলাদেশের চাষিরা ড্রাগন ফলের চাষ করে লাভবান হবার জন্যে বিভিন্ন মেডিসিন প্রয়োগ করছেন ,আর এ ধরনের ড্রাগন খেলে অনেক ক্ষতি হতে পারে তাই এ ধরনের ড্রাগন ফল খাবার থেকে সাবধান হতে হবে।

 তাহলে ড্রাগন ফল খেয়ে যে পরিমাণ ক্ষতি হবে তা থেকে আমরা অনেকটাই উপকৃত হব। এজন্য ড্রাগন ফল নিয়ম মেনে এবং দেখে বুঝে খাওয়া উচিত।ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খেলে নিম্ন রক্ত চাপের সমস্যা হতে পারে।

ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খেলে এলার্জি বা তকে লালিত্য দাগ শ্বাস কষ্ট চোখের চুলকানি হতে পারে, ড্রাগন বেশি করে খাবার খেলে পেটে ব্যাথা বমি বমি ভাব হতে পারে এবং মাথা ব্যাথাও হতে পারে।ড্রাগন ফল আবার পুরুষদের জন্য খুব খতিকর,ড্রাগন খেলে পুরুষদের সেক্সসুয়াল বা যৌন সম্পর্কিত যেকোন সমস্যা হতে পারে।

ড্রাগন ফলের কিছু সাইডিফিকেড আছে যেগুলো আমাদের শরীররের অনেক ক্ষতি করতে পারে তবে অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।নিয়ম অনুযায়ী ড্রাগন ফল খাবার খাওয়া উচিত।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়

ড্রাগন ফলের কিছু উপকারিতা রয়েছে তাঁর মধ্যে কিছু ড্রাগন ফলের রঙের ভিন্নতা রয়েছে যেগুলো লাল মাংসের ড্রাগন ফল সেগুলো কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাই, এ ড্রাগন ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি সাস্থ সচেতন খাদ্য। এই ড্রাগন ফল নিয়মিত রাতে খেতে পারেন এবং সকালে ও খেতে পারেন কিন্তু বিশেষ করে সকালেই ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময় বলে বিবেচনা করা হয়।

সতর্কতা

ড্রাগন ফলের কিছু পার্শ্ব পতিক্রিয়া আছে , ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন অনেক বেশি তাই অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে অ্যালার্জি হতে পারে। এবং প্রচুর পরিমানে ড্রাগন ফল খেলে ডাইরিয়া হতে পারে, রক্ত চাপের সমস্যা হতে পারে।

ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা

ড্রাগন ফল ত্বকের আদ্রতা যোগ করে এবং ত্বককে করে নরম ও মসৃণ।
ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়াই এবং ত্বকের লাল্ভাব ও মেস্তা দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফল ব্রনের দাগ দূর করে ড্রাগন ফলের ফেস প্যাক প্রাকিতিক ভাবে ত্বককে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

বাচ্চাদের ভিটামিন এ, ও ক্যারোটিনের চাহিদা পুরন করতে ড্রাগন ফল খাওয়ানো দরকার , ড্রাগন ফল বাচ্চাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফল খেলে বাচ্চাদের হার্টের উন্নতি করে, যার ফলে বাচ্চা সুস্ত থাকে।


এবং ড্রাগন ফলে ভিটামিন এ, বি , সি , ও ক্যালসিয়াম নানা ধরনের পুষ্টির দারা পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। এ জন্য বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়া অত্যন্ত উপকারি।

লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে বলা যায় যে, ড্রাগন ফলের যেমন উপকার আছে তেমন কিছু খতিকর দিক আছে ড্রাগন আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং মুখের স্কিন নরম মলিন করে এছাড়া ও রক্ত পরিস্কার করে কলেস্টেরলের সাহায্য করে হজমের সহায়তা করে এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ড্রাগন খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাই নিয়ম মেনে ড্রাগন খাওয়া উচিত। প্রিয় পাঠক আর্টিকেল টি যদি ভাল লাগে তাহলে শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url