পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

প্রিয় ভাই ও বোনেরা পটলের কিছু তথ্য আপনারা জানতে চাচ্ছেন, কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না, আসুন আজকে আমি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে পটলের কিছু অজানা তথ্য আপনাদের কে জানাবো। দয়া করে আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।
প্রিয় দর্শক পটলের আরও বিশেষ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করবো যার মাধ্যমে পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা উল্লেখযোগ্য। এ রকম আরও তথ্য জানতে আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

পটল সবজির মধ্যে একটা অন্যতম সবজি, যা খেয়ে আমরা আমাদের শরীরের ওজন দ্রুত কমাতে পারি।এবং শরীর সুস্থ সবল রাখতে পারি, বিশেষ কিছু রোগ থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি। তাই পটল খাওয়া উচিত।

পটলের উপকারিতা কি জানুন

পটল হচ্ছে এক ধরনের অন্যতম সবজি পটলে আছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট, পটল ওজন কমাতে সাহায্য করে। পটল খেলে রোগ পতিরোধ খমতা বাড়াই,পটলে ভিটামিন-এ, বি, সি থাকে। বাড়িতে পটল রান্না হলে সবার অনিহা চলে আসে খেতে চায় না,কিনতু এ পটল খেলে অনেক উপকার হয়।
প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে পটলের মধ্যে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এই ফাইবার, যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা এই পটল নিয়মিত খাবার খেতে পারে।

এতে রয়েছে দুধের চেয়ে অনেক বেশি প্রায়৫/৬গুন আয়রন, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ও ক্যালসিয়াম।যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং পটলে যে পরিমাণ ফাইবার আছে তা হজমের সহায়তা করে যদি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ে তাহলে হিতরোগের ঝুঁকি থাকে।
কিন্তু পটল খেলে হিতরোগ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রোগ থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করে। এ পটল খেলে রক্ত পরিস্কার রাখে তকের সমস্যা সমাধান করে। পটল খেলে শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পুরোন করে এছাড়া ও মাথা ব্যাথা চুল পড়া কাটা যুক্ত ঘা তকের সমস্যা সমাধান করে। পটল রক্তের সোগার কমাতে সাহায্য করে।

কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করেহিতরোগে ঝুঁকি থাকে যদি রক্তে খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়ে এই কলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পটল খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে হার্ট অ্যাটাক করে না হার্ট ভালো থাকে।

পটলের অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

পটল খেলে যেমন উপকার হয় তেমনি কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেমন যাদের শরীরের সোগারের সমস্যা আছে তাদের পটল খেলে সোগারের মাত্র্রা কমে যেতে পারে এতে ক্ষতি ও হতে পারে। অনেকের ত্বকের সমস্যা রয়েছে তারা পটল খেলে অ্যালার্জি ও হতে পারে, এবং আরও বিশেষ কিছু সমস্যা হলে ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে।

পটলের খোসার উপকারিতা

পটলের খোসাতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে এজন্য পটলের খোসা না ছাড়িয়ে খেতে হবে, পটলের খোসা না ছাড়িয়ে রান্না করলে খেতে মন্দ লাগেনা তবে একটু হাল্কা ঘসে নিতে পারেন এভাবে খেলে অনেক উপকার হবে।

পটলের বীজের উপকারিতা

পটলের বীজ খেলে রক্তে শর্করা ও কলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে পটলের বীজ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, এই পটলের বীজে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা হজমের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে তাই পটলের বীজ ফেলে না দিয়ে খেয়ে ফেলুন।

ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা

ওজন কমাতে সাহায্য করে এই পটল নিয়মিত পটল খেলে ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। আমরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট কন্ট্রোল না করে ডায়েট চার্টে পটল রাখতে পারি নিয়মিত খাবার হিসেবে। যারা নানা ধরনের শাক সবজি খেয়ে ওজন কমাতে চাই তারা নিয়মিত পটল খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ বাড়াইপটলে ভিটামিন-এ, বি,সি থাকে এবং ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের মত উপাদান থাকে।যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, এবং এই সবজিতে যে ফাইবার আছে তা হজমের জন্য খুব উপকারি


ত্বকের জন্য খুব উপকারীতকের বার্ধক্যজনিত লক্ষ্মণ এড়ানো যায় নিয়মিত পটল খেলে পটলের মধ্যে ভিটামিন এ, ও সি থাকার কারনে তকের বলিরেখা নরম ও সাস্থ অন্যত করতে সাহায্য করে।

রক্ত পরিস্কার রাখা

রক্ত পরিস্কার রাখতে পটলের ভুমিকা অনেক, নিয়মিত পটল খেলে রক্ত পরিস্কার করে এবং মুখের তকের সমস্যা সমাধান করে তকের বা শরীরের বিভিন সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পটল খাওয়া উচিত ।

পটল চাষ পদ্ধতি

পটল চাষ করতে হলে যমিতে ৪/৫ টি আড়াআড়ি চাষ দিয়ে মাটি সমান ও ঝুরঝুরে করে নিতে হবে, পটল এক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম সবজি। পটল গ্রীষ্মকালে চাষ করা হয়, তাই এটি কে গ্রীষ্মকালীন সবজি বলা হয়।

প্রায় বাংলাদশে ২৩,৫১০ হেক্টর জমিতে পটল চাষ করা হয়। যার উপাদান মোট ৬৮,৪১৫ মেট্রিক টন, বর্ষাকালে যখন সবজির অভাব হয় তখন পটল অন্যতম সবজি হিসাবে কাজ করে। এবং অন্যান্য সব্জির ৩০% চাহিদা পূরণ করে।

মাচা তৈরী

পটল চাষ মূলত উচুতেই করা উচিত কারন পটল উচুতে করলে ফলন ভাল হয় এবং রোগ বালাই কম হয়। আবার মাতিতে খড় বিছিয়ে পটল চাষ করা যায়, কিন্তু পটলের রং সাদা ফেকাসে বা হলুদ বর্ণের হয়ে যায় এতে বাজার মূল্য কম হয়। পটলের মাচায় পুরপুরি ভাবে সূর্যের তাপমাত্রা থাকলে পটল চাষ ভালো হয়।

সার প্রয়োগ

পটল চাষে জৈব সার বা গবর পরিমান মত দিতে হয়, এবং পটল চাষে ১৮/১৯ কেজি ইউরিয়া, ২৪/২৫ টিএসপি,১৪ কেজি এমপি সার দিতে হয় তাহলেই পটলের ফলন ভালো হয়। এছাড়াও ফুল ধরা কমে গেলে গবর, এমওপি, জিপসাম, ও বরন সার দিতে হয়, এবং চারা বপনের সময় এ গুলো দিতে হয়।

সেচ ও পানি নিষ্কাশন

পটল চাষ পানির জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না বৃষ্টির পানি হলে বা জলাবদ্ধতা বেশি হলে পানি নিষ্কাশন করতে হবে। তা নাহলে পটলের পাতা, গাছ, এবং পটল পচে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের নিজের শরীর ও তক ভালো রাখতে, এবং ওজন দ্রুত কমাত্‌ রক্ত পরিস্কার রাখতে, কস্টোকাটিন্ন দুর করতে , কলেস্টেরল কমাতে, পটল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।তাই আমাদের শরীর সুস্থ সবল রাখতে পটল খওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অনেক তথ্য জানালাম আর্টিকেলটি পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধু বা আত্মীয়দের কাছে শেয়ার করে দিবেন।ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url